ব্রেকিং নিউজঃ |
ঝালকাঠির রাজাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আসলাম হোসেন লিটু (৩২)কে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করেছে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। শনিবার ৯ মার্চ রাতে রাজাপুর সদর ইউনিয়নের হাজিরহাট গ্রামের মৃধাবাড়ি এলাকায় এঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় মামুন হাওলাদার (৩৫) নামের এক যুবককে তাতক্ষণিক গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসলাম হোসেন লিটু সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও রোলা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
আটককৃত মামুন বাগেরহাটের মোরলগঞ্জ উপজেলার সাঙ্কিভাঙ্গা গ্রামের আলী আজগরের ছেলে। রোববার দুপুরে এ ঘটনায় লিটু মেম্বরের স্ত্রী সামিনা আক্তার বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ্যপূর্বক ৪জন অজ্ঞাতনামা মোট ১০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ওস্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর লিটু মেম্বর ফারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তির মোটর সাইকেলে চড়ে স্থানীয় একটি মাহফিলে যোগ দেয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। এসময় ওঁত পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী মটর সাইকেল থামিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারত্মক জখম করে। এসময় মোটরসাইকেল চালক ফারুক লাফ দিয়ে পাশের খালে ঝাপিয়ে পড়েন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থা আশংকাজনক মনে করে বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে গভীর রাতে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
স্বজনদের অভিযোগ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে লিটু মেম্বরকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়।
রাজাপুর থানার ওসি মোঃ জাহিদ হোসেন ও এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সম্পৃক্ত গ্রেফতারকৃত মামুনের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্য জড়িদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং গ্রেফতারকৃত মামুন ভাড়াটিয়া হিসেবে কাজ করেছে বলেও জানায় পুলিশ।
প্রভাতী নিউজ / জি এস
সংবাদটি পঠিতঃ ২০৪ বার