
জেলা ডেস্ক: উপজেলা জেলা নির্বাচনে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে দায়িত্বপালন শেষে কর্মকর্তাদের ওপর নির্বিচারে ব্রাশফায়ারের ঘটনায় আহত আরও একজন মারা গেছেন। তার নাম- নিরু বিকাশ চাকমা । সোমবার রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি মারা যান। চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১৮ই মার্চ ভোটগ্রহণ শেষে কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে নির্বাচনকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা হয়। ওই হামলায় ঘটনাস্থলে ৬ জন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও একজন মারা যান। সোমবার রাতে নিরু চাকমাসহ ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
সর্বশেষ নিহত অফিস সহকারী নিরু বিকাশ চাকমা ওইদিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ওইদিন বাঘাইছড়ি-দিঘিনালা সড়কের ৯ মাইল এলাকায় নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী চাঁদের গাড়িগুলোর ওপর হামলা করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পুলিশের ভাষ্য, তিনটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা বিজিবির পাহারায় তিনটি চাঁদের গাড়িতে করে দীঘিনালা ফিরছিলেন।
এ সময় সংঘবদ্ধ দৃর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ার করলে দ্বিতীয় গাড়িটি আক্রান্ত হয়। ওইদিন নিহতরা হলেন- আমির হোসেন, আবু তৈয়ব, মন্টু চাকমা, মিহির কান্তি দত্ত, আল আমিন, বিলকিস আক্তার ও জাহানারা বেগম।
নিহতদের মধ্যে শিক্ষক আমির ও আবু তৈয়ব পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মিহির দত্ত, আল আমিন, বিলকিস আক্তার ও জাহানারা বেগম আনসার ও ভিডিপি সদস্য। মন্টু চাকমার পরিচয় জানা যায়নি।