
নব আলো : ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, বাংলাদেশে শিক্ষার হার আসলে কাগজে-কলমে বাড়ছে। প্রকৃত শিক্ষার মান উন্নত হচ্ছে না। শ্নফাঁস সম্বন্ধে তিনি বলেছেন, বর্তমানে প্রশ্নফাঁস সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। এটি এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় বেসরকারি একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে ‘বাংলাদেশের ৪৮ তারুণ্যের চোখে’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ভিপি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় বাংলাদেশের একটি নিউক্লিয়াস। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৮ শতাংশ কলা ও বাণিজ্যিক অনুষদের শিক্ষার্থী, আর ২২ শতাংশ হচ্ছে বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী।
অথচ বর্তমান বিশ্ব বিজ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল। সেখানে ঢাবির মতো একটি জায়গায় বিজ্ঞানের এ অবস্থা।
চীনের কথা ধরুণ, তারা ১৫০০ টাকায় মোবাইল বানাতে পারে, আবার সবচেয়ে উন্নত মানের প্রযুক্তিও বানাতে পারে। কিন্তু আমরা সেই প্রথাগত পদ্ধতিতেই পড়ে আছি।
নুর বলেন, আমরা এখনও কলা অনুষদনির্ভর বা বাণিজ্যিক অনুষদনির্ভর। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে সাবজেক্টগুলো সেসব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় খুব এটা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না।
ঢাবির উদাহরণ টেনে ভিপি বলেন, ২০১৭ সালে ঢাবির মতো একটি প্রতিষ্ঠানের সাবজেক্ট খুলতে হয় প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগ নামে; আর বন্ধ করে দেয়া হয় অ্যাপলাইড ফিজিকসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এই সাধারণ একটি বিষয় ভাবলেই দেখা যায় যে, শিক্ষার কি দুরবস্থা রয়েছে। যেটি আমরা অস্বীকার করতে পারব না।
নুর বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, শিক্ষার হার বাড়ছে, সার্টিফিকেট হয়তো পাচ্ছি, কিন্তু আমরা প্রকৃত মান যেটি সেটি পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বলা হচ্ছে- বাচ্চাদের ওপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটিই আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা একটি এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে।